কৃত্রিম পরাগসংযোগ ঘটিয়ে পটলের ফলন বৃদ্ধি
পটল
জাত :-
কাজলী, গুলি,দেশিধূসর,লতা বোম্বাই,ঘুঘুট বোম্বাই, দামোদর,মড়াঝাটি,দুধীয়া ইত্যাদি.
বীজ বোনার সময় :-
অশ্বিন - কার্তিক,
বীজের হার :-
একর প্রতি৩০০০ - ৩২০০টি মূল (কন্দ) বা ৩৫ - ৩৭ হাজার ২ফুট সাইজের লতা. প্রতি মাদাতে দুটি মূল বসবে .
বসানোর দূরত্ব :-
৬ফুট * ৬ফুট
সার প্রয়োগ :-
জমি তৈরির সময় একর প্রতি ৪ টন জৈবসার ও মাটির অবস্থা অনুযায়ে রাসায়নিকসার ব্যাবহার করা উচিত. চাপান সার হিসাবে কন্দ লাগানোর ২১ ও ৪০ দিন পর প্রতিবারে নাইট্রোজেন ও পটাশসার ব্যাবহার করা উচিত এবং মাটিতে অণুখাদ্যের অভাব মেটাতে মিশ্র অনুখাদ্য মাটিতে ব্যাবহার করা যাবে তাছাড়া বোরন, জিং, মলিবডেনাম, মিশ্ৰিত অনুখাদ্য পাতায় স্প্রে করা যায়.পটল বসানোর ৩৫ - ৬০ দিন পর মাদাপিছু ২৫ গ্রাম না:, ৮ গ্রাম প: ব্যাবহার করা যায়.
কৃত্রিম পরাগসংযোগ ঘটিয়ে ফলন বৃদ্ধি
পটল এ পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আলাদা আলাদা গাছে জন্মায়. এই কারণে পটল জমিতে
৯ টি স্ত্রী গাছ পিছু ১টি পুরুষ গাছ রাখা দরকার. পুরুষ গাছ থেকে পরাগরেনু কীট পতঙ্গ দ্বারা বা বাতাস দ্বারা
বাহিত হয়ে স্ত্রী ফুলে এসে পরাগমিলন ঘটে. সাদা পটল
ফুল রাত্রিবেলায় ফোটে এবং রোদ বাড়ার সাথে সাথে স্ত্রী ফুল পরাগমিলনের অনুপযুক্ত হয়ে
যায়. ব্যাপকহরে কীটনাশকের ব্যাবহারএ পরাগমিলনে সহায়ককারি কীট
পতঙ্গের পরিমান কমিয়ে দেয় ফলে ফলন হ্রাস পায়. তাই ফলন বাড়াতে কৃত্রিম উপায়ে পরাগমিলন এর উপর জোর দেওয়া
হচ্ছে.
HAND POLLINATED |
কৃত্ৰিম উপায়ে পরাগমিলান এর একটি পদ্ধতি, ভোরেরবেলায় সদ্য ফোটা একটি পুরুষ ফুল ছিঁড়ে দু – তিনটে স্ত্রী ফুলের উপর উপুড় করে আঙুলের টোকা দেওয়া হয়. ফলে ফলন আশানরুপবৃদ্ধি পায়. এই পদ্ধতির একটি অসুবিধা হল, পরাগমিলন এর কাজ
দ্রুত করতে হয় বলে অনেক ফুলে ঠিকমতো পরাগমিলন হয় না .সেই ফুল গুলির ফল বেঁকা, টেরা ও ছোট হয় ফলে
বাজারে দর কম পাওয়া যায়.
এই জন্য কৃত্রিম উপায়ে পরাগসংযোগ
এর আরো সাফল্যকারীএকটিপদ্ধতিরয়েছে. ভোরবেলায় মাঠ থেকে সদ্যফোটা পুরুষ ফুল তুলে নকের চাপে পাপড়ির অংশ বাদ দিয়ে পরাগযুক্ত পরাগধানী আলাদা করা হয়. তারপর পাগধানী পরিশ্রুত জলে ফেলে দ্রবণ তৈরী করা হয়. ওই দ্রবণ ছোট্ট বাটিতে নেয়া ড্রপের এর সাহায্যে স্ত্রী ফুলের মধ্যে ১ ফোটা করে দ্রুত ফেলে দেওয়া হয়. এক জন লোক ১ ঘন্টায় এক হাজার ফুলে পরাগমিলন ঘটাতে পারে . স্টিলের বাটিতে আধ ঘন্টা গরম জলে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে একাজে ব্যাবহার করা হয়.১ লিটার পরিশ্রুত জলে ১০০০ টি পুরুষফুলের পরাগধানী ও ১০ গ্রাম চিনি মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করা হয় . পরাগমিলন ঘটকালীন জীবাণু সংক্রমণ বন্ধ করতে পরিস্কার জামা, কাপড় ব্যাবহার হাত সাবান দিয়ে ধোয়া নখে ময়লা না থাকা, জীবাণুমুক্ত
পাত্র ও ড্রপার ব্যাবহার করা হয়.
এই পদ্ধতিতে উৎপন্ন পটল সংখ্যাই
বেশি আকারে বড়ো, ও দেখতে ভালো হওয়াই বাজারে দাম ভালো পাওয়া যায় .
Post a Comment