Patra & Pan Crop Production
..........................কৃষকের সাথে কৃষকের পাশে

PAPAYA CULTIVATION

B.name - Carica papaya

পেঁপের উৎপত্তিস্থল সাউথ মেক্সিকো হলেও ভারতবর্ষের জলবায়ুতে খুব সুন্দর ভাবে মিশে গেছে.ষোড়শ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে পেঁপের আবির্ভাব হয়, বর্তমানে ভারতবর্ষের প্রত্যেক রাজ্যে কম-বেশি করে পেঁপে চাষ হয়ে থাকে. কৃষি বিভাগের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতবর্ষে পেঁপে চাষের বৃদ্ধির হার অনেক বেশি. পেঁপেচাষে উন্নত রাজ্য গুলো হল অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকা, গুজরাট,ওড়িশা,পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরল,মহারাষ্ট্র, ইত্যাদি.

পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন A, এবং ভিটামিন C বর্তমান থাকে, এছাড়াও এর খাদ্যগুন,ও ঔষুধিকগুন ব্যাপক. পেঁপে থেকে প্যাপিন পাওয়া যায় যার গুণমান ও ব্যাবহার অপরিসীম এথেকে অম্বল,হজম, কিডনি, ও চোখের ঔষুধ তৈরি হয়, তাছাড়াও বিভিন্ন কস্মেটিক,তৈরির কাজে ব্যাবহার হয়. কাঁচা পেঁপের রসের বিভিন্ন প্রকারের ঔষুধিক কাজে ও চর্মরোগে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে.

জাত :- 

কুর্গ হানিডিউ :- 

মাঝারি থেকে বড় আকৃতির ফল, ওজন প্রায় ২-৩ কেজির মতো হয়, লম্বা, ডিম্বাকৃতির, খোসা মসৃন, হালকা হলুদ বোটার দিক উঁচু চূড়ার মতো. রসালো ফল ও ভেতরের ফাঁপা অংশ বেশি. এই জাতের প্রতিটি গাছে পুরুষ ও স্ত্রী দুই রকমের ফুল হয়. খুব কম উচ্চতায় ফুল ও ফল আসে.

সোলো :- 

বর্তমানে সারা বিশ্বে এই জাতের চাহিদা প্রচুর, মাঝারি আকারের মোটা শাঁস ও খুব মিষ্টি ফল. ভেতরের ফাঁপা অংশ ও বীজ খুবই কম থাকে.

রাঁচি :- 

গাছ বেঁটে এবং পাতা ঘন সবুজ এই জাতের মূল লক্ষন.খুব কম উচ্চতায় ফুল-ফল আসে,ফলে  বিশেষ কোনো গন্ধ থাকেনা. মাঝারি আকারের ফল. ওয়াশিংটন :- গোলাকার বা ডিম্বাকার ফল হয় ওজন ২-৩ কেজি হতে পারে. শাঁসের রং কমলা,খুব মিস্টি ও সুগন্ধিত.

CO-1 :-

 এই জাতটি COIMBATORE AGRICULTURE AND RESEARCH INSTITUTE থেকে উদ্ভাবিত. মাঝারি ফল খোসা খুব মসৃন, শাঁস সোনালী হলুদ খুব বেটে জাত মাটি থেকে ১ ফুট উঁচু হলেই ফল ধরে.


CO-2 :-       প্রায় CO-1 এর মতো. তবে প্যাপিন উৎপাদনে উপযুক্ত.

এছাড়াও পুসা ডেলিসিয়াস, পুসা ডুয়ার্ফ, রেড লেডি, মধুক্ষরা,রাসেল ইত্যাদি বহু পেঁপের জাত রয়েছে.পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত Ranchi selection, Honey Dew, Washington, Coorg Green এই সমস্ত জাতগুলো ভালো ফলন দেয়. 

জলবায়ু -

 উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়াতে এই গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ভালো হয়. শুস্ক জলবায়ুতে ফল বেশি মিষ্টি ও সুস্বাদু হয়.পেঁপে সর্বাধিক ৩৮ থেকে ৪০ ও সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপের প্রয়োজন. 

মাটি :-

 সাধারণত সব ধরণের মাটিতেই পেঁপে চাষ হয়. তবে দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উপযুক্ত.পেঁপে গাছের শিকড় মাটির বেশি ভেতরে যায় না তাই মাটির উপরি ভাগ থেকেই খাদ্য ও জল সংগ্রহ করে. এইগাছ জল দাঁড়ানো সহ্য করতে পারে না.

চারা তৈরি :- 

বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে বা উন্নত জাতের পাকা পেঁপে থেকে বীজ সংগ্রহ করা যেতে পারে, পাকা পেঁপে থেকে বীজ সংগ্রহ করে মসৃন ছাইয়ের সাথে রগড়ে ঘষে নিয়ে জলে ধুইয়ে নেবার সময় ভাসমান
বীজগুলি ফেলে দিয়ে ভালো বীজ গুলি তুলে চারা তৈরির কাজে ব্যাবহার করা হয়. পেঁপের বীজ সরাসরি বীজতলায় বা পলিথিনের প্যাকেটে ভরে চারা তৈরী করা যায়. চারা বীজতলায় বা পলিথিনের প্যাকেটে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে তৈরী হয়ে যায়.


চারার পরিমান ও রোপনের সময় :- 

এক একর জমির জন্য ৩ থেকে ৪ হাজার চারা তৈরী করতে হবে. সাধারণত বর্ষা ও শীতকাল ছাড়া বছরের যে কোনো সময় পেঁপে চারা লাগানো যেতে পারে. তবে বৈশাখ - জ্যৈষ্ঠ এবং অশ্বিন - কার্তিক মাসে চারা লাগালে গাছের বৃদ্ধি ভালো  হয় ও কম উচ্চতায় ফুল আসে এবং প্রচুর ফল ধরে.

 চারা রোপন :- 

১.৮ মিটার * ১.৮ মিটার দূরত্বে ৪৫ * ৪৫ * ৪৫ c.m  মাপের গর্ত খোঁড়া হয়. প্রতি গর্তে ৩ টি করে গাছ লাগানো হয়. ফুল আসার পর ১ টি করে গাছ রেখে বাকি কেটে ফেলতে হয়. পেঁপে গাছ সাধারণত একলিঙ্গ বিশিষ্ট ও উভয় লিঙ্গবিশিষ্ট হলেও ভালো ফলন পেতে কাছাকাছি পুরুষগাছ রাখা দরকার. তাই গাছে ফুল আসার পর প্রতি ১০ টি গর্তে ১টি করে পুরুষ গাছ রেখে বাকি ৯ টি স্ত্রী গাছ রাখা উচিৎ. 

সার প্রয়োগ:- 

চারা বসানোর সময় প্রতি গর্তে ৫ কেজি জৈব সার , ২২০ গ্রাম ইউরিয়া, ৩১০ গ্রাম এস এস পি, ও ২৪০ গ্রাম এম ও পি মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত উঁচু করে দেওয়া হয়. প্রয়োজন অনুযায়ী অনুখাদ্য হিসাবে গ্রেড ৫ পাতায় ২ গ্রাম করে প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করা যায়. 

female flower of papaya 

স্ত্রী ও পুরুষ গাছ চেনার উপায় :- 

স্ত্রী ফুল :- 

এই ফুল আকারে বড় হয় এবং প্রতি থোকায় ১ থেকে ৩ টি করে ফুল থাকে,ফুলের বাইরের পাপড়ি ছাড়ালে ছোট্ট পেঁপে পাওয়া যায়. 

পুরুষ ফুল:- 

ছোট্ট ফুল এবং লম্বা বোটায় ঝুলন্ত অবস্থায় থোকায় বহু ফুল থাকে. এর বাইরের পাপড়ি ছাড়ালে পেঁপে থাকেনা. 

উভয় লিঙ্গ ফুল:- 

এটি মাঝারি আকারের এবং প্রতি থোকায় ৮ থেকে ১০ টি করে ফুল থাকে. এর পাপড়ি ছাড়ালে একটি ছোট্ট পেঁপে ও তার ধার দিয়ে এক সারি পুংকেশর দেখাযায়.


 অনেক সময় দেখাযায় একটি বোটায় অনেকগুলি ফল ধরে. এতে ফলের সাইজ ও বৃদ্ধি ঠিক মতো হয় না ফলে ফলন কমে যায়.সেইজন্য কিছু ফল তুলে নেওয়া উচিৎ. 

ফলন :-

 পেঁপে গাছ বহু বর্ষজীবী একবার লাগালে ১০ থেকে ১২ বছর ফলন দেয় কিন্তু ৩ বছর পর থেকে ফলন কমে যায়.ব্যবসা ভিত্তিক হলে ৩ বছরের পর ফলন না নেওয়াই উচিৎ.

 জাত অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৫ টন/ একর(৩০ থেকে ১০০টি ফল প্রতি গাছে)



Some important fact :- 

  • Papaya does not withstand water-logging, a well-drained upland position should be selected for its cultivation.
  • In commercial cultivation, at least one male plant to ten females should be retained for pollination.
  • Well-flavored fruits are only produced in warm climate.
  • The plant is very sensitive to strong winds and water stagnation.
  • Three seedlings should be planted in each pit.
  • As soon as the plants flower, extra male plants should be uprooted.
  •  Papain is prepared from dried latex of immature Papayas, it’S used for various purposes in the pharmaceutical industry, silk industry, leather industry, breweries and also for making cheese, cosmetics, toothpaste and chewing gum.

No comments